কিভাবে কন্ঠ সুন্দর করা যায় ? ঘরোয়া পদ্ধতি জানুন
কন্ঠ হলো আল্লাহ তাআলার এক বিশেষ নেয়ামত, বিশেষ করে যারা গায়ক অথবা গায়িকা হয়ে থাকেন। অবশ্যই তাদের কন্ঠ অনেক সুন্দর এবং সুমিষ্ট হয়ে থাকে আবার কারো কারো কন্ঠ মোটা এবং চিকন হয়ে থাকে ।
মনে করেন আপনি কোন জায়গায় আপনার সঙ্গীত উপস্থাপন করছেন ,সেই সময় আপনার কণ্ঠস্বর যদি কর্কশ হয় তবে কোন মানুষের কাছে শ্রুতিমধুর হবে না অর্থাৎ কেউ আপনার কণ্ঠস্বর পছন্দ করবে না।তাহলে বুঝতেই পারছেন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কাজ করার ক্ষেত্রে সব সময় ই কন্ঠ একটা বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
কিভাবে কন্ঠ ভালো রাখা যায় ?
আমরা আমাদের কণ্ঠস্বরকে প্রাকৃতিক উপায়ে প্রাচীনকাল থেকে যেভাবে গুপ্ত টেকনিকে নিজেদের কণ্ঠকে ভালো রাখার কাজে ব্যবহার করতাম বর্তমানে কোন প্রফেশনাল কাজে আমরা এখনকার মডার্ন যুগে এগুলো ব্যবহার করি না।চলুন নিচে জেনে নেওয়া যাক আমরা কিভাবে আমাদের কণ্ঠস্বরকে উন্নত করতে পারি-
- সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে কোনো ফাঁকা জায়গা যেখানে অক্সিজেনে পরিপূর্ণ আছে অথবা বিকেল বেলায় নাক দিয়ে গভীর শ্বাস নিতে হবে।
- প্রতিদিন পাঁচ মিনিট করে একটি মন্ত্র পাঠ করতে হবে যেমন হ ,ৎ, হং।
- হাতকে দুই হাতকে ভালোভাবে বারবার ধৌত করুন।
- বিশেষ করে চা-কফি এবং কোমল পানি পান করা যাবে না।
- খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে খাবার পানি।
- কথা বলার সময় অবশ্যই মাংসপেশির সাহায্য নিতে হবে এতে আপনার কন্ঠ অনেক ভালো শোনাবে।
- মোবাইল ফোনের রিসিভার নিয়ে ঘাড়ে বেশিক্ষণ কথা বলা যাবে না।
- ধূমপান ও ঝাল যুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে।
কণ্ঠস্বর কে সুন্দর করতে করণীয়
কন্ঠকে বেশি সৌন্দর্য করতে তার জন্য কিছু ব্যায়াম করতে হবে ।এরই মধ্যে একটি হলো বজ্রাসন, অনেক ক্ষেত্রে এই ব্যায়ামটি অনেকের উপকারে আসে । তাইকোন্ডো ভালো রাখতে এই ব্যায়ামটি প্রতিহত করার চেষ্টা করবেন।
কন্ঠ সুন্দর করার ঘরোয়া পদ্ধতি
কন্ঠ সুন্দর করতে আপনার ঘরেই কিছু পরিচিত মসলা জাতীয় উপাদান নিয়ে সুন্দর একটি রেমেডি তৈরি করতে পারেন ।এটি তৈরি করতে প্রয়োজন চারটি জিনিস সেগুলো হলোঃ-
- লবঙ্গ
- যষ্টিমধু
- তাল মিশ্রি
- কাবাব চিনি
এই চারটি জিনিস একসঙ্গে মিশিয়ে আপনাকে একটি রেমেডি তৈরি করতে হবে ।লবঙ্গ চার থেকে পাঁচটি, যষ্টিমধু এর পাউডার বাজারে কিনতে পাওয়া যায় আপনারা যষ্টিমধুর পাউডার নিবেন এক চামচ, সাথে তাল মিশ্রি কয়েকটি টুকরো এবং কাবাব চিনি কয়েকটি একসাথে গুঁড়ো করে একটি পাত্রে সংরক্ষণ করবেন।
আপনি যখন গান করবেন অথবা কোন বক্তিতা অংশগ্রহণ করবেন, তার ঠিক আগে এই মিশ্রণটি এক চামচ খেয়ে ফেলবেন। এতে করে কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার গলায় খুব সুন্দর একটি অনুভব হবে এবং এটি অবশ্যই চুষে খাবেন।
কিভাবে আপনার কণ্ঠস্বর কে আরো মধুময় করা যায়
দ্রুত শ্বাস নিন এবং ছাড়ুন এবং বলুন যেমন আহ-আহ দর্শকের মতো ধরে রাখুন এবং পরবর্তীতে আহ-আহ-আহ টানুন এবং একটু বেশিক্ষণ ধরে রাখেন ।এবং ভলিয়্যুমটা পরিবর্তন করেন। মনে মনে অন্য কোন প্যাসিভ পড়ুন।
কন্ঠ সুন্দর করার ঔষধ
কন্ঠ সুন্দর করার ঔষধ আছে কি না সেটি জানা নেই ,তবে কন্ঠ সুন্দর করার ঔষধ হিসেবে প্রাচীনকাল থেকে কাজ করে যষ্টিমধু ।যষ্টিমধু অন্যরকম একটি বিশেষ উপাদান রয়েছে যার মাধ্যমে গলার স্বর বা কণ্ঠ অনেক সুন্দর হয় ।তাই আপনি গলা কন্ঠ সুন্দর করতে অবশ্যই যষ্টিমধু খেতে পারেন।
গুরুত্বপূর্ণ কথা
কন্ঠ সুন্দর করার জের ধরে আমরা অনেকেই অনেক কিছুই খেয়ে থাকি না জেনে ।যা পরবর্তীতে আমাদের কণ্ঠস্বরের অনেক ক্ষতি করে ।তাই কোন কিছু খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই সেই জিনিস এর গুনাগুন অপকারিতা সম্পর্কে জেনে খাবেন ।কেননা অনেক সময় হিতে বিপরীত হতে পারে ।আর চেষ্টা করবেন সবসময় প্রাকৃতিক জিনিস খাওয়া এবং কম কথা বলার, এতে করে আপনার গলার স্বর ভালো থাকবে।
আজকের ইনফো নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url