পড়া মনে রাখার ৫টি ইসলামিক উপায় - দিনে কয় ঘন্টা পড়া উচিত
প্রিয় পাঠক আপনার নিশ্চয়ই পড়া মনে রাখার ইসলামিক উপায় কথাটি লিখে গুগলে সার্চ করে আজকের পোস্টটি খুজে পেয়েছেন। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনারা পড়াশোনা করার নিয়ম ও পড়া মনে রাখার ইসলামিক উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
পোস্টসূচিপত্রঃঅনেকেই প্রশ্ন করেন কিভাবে পড়লে ভালো রেজাল্ট করা যায় ,পড়াশোনা করার সঠিক নিয়ম কি, দিনে কয় ঘন্টা পড়া উচিত ।তাই এগুলো প্রশ্নের উত্তর দিতে আজকে পোস্টটি ।কিছু নির্দিষ্ট টেকনিক ফলো করার মাধ্যমে আপনি পড়াশোনা খুব সহজেই মনে রাখতে পারবেন ,তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
ভূমিকা।পড়া মনে রাখার ইসলামিক উপায়
পড়াশোনা আমাদের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় ।কেননা পড়াশোনা ছাড়া ভালো মানুষ,ভালো জাতি হওয়া যায়না এবং জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে পড়াশোনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।কিন্তু পড়তে কারো ভালো লাগে না এবং অনেকক্ষণ পড়ার পর পড়া সহজে মনেও পড়ে না ।কারণ পড়াশোনা করার নিয়ম আমরা অনেকেই জানিনা ।
পড়াশোনা আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পড়াশোনা ছাড়া অথবা জ্ঞান অর্জন ছাড়া জীবনে সফল হওয়া যায় না। আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা পড়তে বসেন কিন্তু পড়াশোনা মন বসে না। এছাড়া আরো রয়েছে যেমন পড়াশোনা করতে মন চায় না আবার পড়া মনে থাকে না ইত্যাদি সমস্যা গুলো আমাদের বেশিরভাগই হয়ে থাকে।
তবে চিন্তার কোন কারণ নেই আজকের পোস্টটিতে আমরা পড়া মনে রাখার ইসলামিক উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করব। আপনি যদি পড়াশোনা ভালো করে করতে চান এবং পড়া মনে রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কিছু নিয়ম ও ইসলামিক নিয়ম অনুযায়ী পড়াশোনা করতে হবে তাহলে একমাত্র আপনি পড়াশোনায় ভালো হতে পারবেন এবং জীবনে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
পড়াশোনা করার নিয়ম
সঠিক পড়াশোনা করার নিয়ম হল কোনো কিছু পড়ার সময় ইমাজিন করা ।অর্থাৎ আপনি কাল্পনিকভাবে সে জিনিসটি কে মনে রাখার চেষ্টা করবেন ।যেমন ধরুন আপনি যখন কোন মুভি দেখেন সিনেমা দেখেন ,আপনাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় মুভিটির এই সিনে কি ছিল আপনি গড় গড় করে বলে দিতে পারবেন ।কিন্তু পড়াশোনা কোন অংশ জিজ্ঞেস করলে আপনি সেটি বলতে পারবে না।মানুষের ব্রেনের দুইটি মেমোরি থাকে একটি হল লং টার্ম মেমোরি আরেকটি হলো সর্ট টার্ম মেমোরি ।
আরো পড়ুনঃ
লং টার্ম তে যেসব জমা হয় সেসব স্মৃতি আমরা সহজে ভুলিনা। অপরপক্ষে সর্ট টার্ম মেমোরিতে সেগুলো জমা হয় যেগুলো আমরা মনে রাখতে চাই না ।যেমন ধরেন রাস্তা দিয়ে পথ চলছেন এবং আপনি কিছুই মনে রাখছেন না ইচ্ছা করে ,এগুলো সর্ট টার্ম মেমোরিতে জমা হয়।তাই এই সর্ট টার্ম মেমোরি থেকে আমাদেরকে লং টার্ম মেমোরিতে রূপান্তর করতে হলে আমাদেরকে কিছু কিছু ট্রিকস বা টেকনিক খাটাতে হবে। চলুন আমরা এবার সেই টিপস গুলো জেনে নিই।
আত্মবিশ্বাস
সফলতার প্রথম ধাপ হচ্ছে আত্মবিশ্বাস। আত্মবিশ্বাস ছাড়া জীবনে কেউ সফলতা অর্জন করতে পারবে না। তেমনি ভাবে পড়াশোনার ক্ষেত্রেও আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। কোন কিছু সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন ও দক্ষতা অর্জন করতে চাইলে অবশ্যই সেই বিষয়ে শিখার আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে যে আমি কাজটি শিখতে পারবো। আপনার একটা কথা মনে রাখা উচিত পড়াশোনাকে কখনোই জটিল মনে করা যাবে না। সব সময় ভাবতে হবে এটি সহজ এবং এটি আমার দ্বারা সম্ভব।
সবসময়ই নিজের মনকে ও ব্রেনকে বোঝাতে হবে আমার দ্বারা করা পড়া সম্ভব এবং আমিও পড়তে পারি সবার মত। আমাকে যে করেই হোক পড়তেই হবে এবং পড়া মনে রাখতে হবে। কঠিন পড়া গুলোকে নিজের মত সাজিয়ে মনে রাখার চেষ্টা করতে হবে। যে কোন বিষয়ে পড়ার আগে সেই বিষয়টি সম্পর্কে বুঝে পড়তে হবে তাহলে একমাত্র পড়া মনে থাকবে। তার সাথে সাথে পড়াটি বুঝার মানসিকতা থাকতে হবে। তাহলে একমাত্র পড়া মনে থাকবে।
নির্দিষ্ট সময় বের করা
আপনাকে অবশ্যই লেখাপড়া করার জন্য নিজেকে সময় নির্বাচন করতে হবে। অনেকেই সকালে পড়তে ভালোবাসে আবার অনেকেই রাত জেগে পড়াশোনা করে। আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে আপনার কোন সময়ে সবচেয়ে পড়া ভালো হয় এবং মনে থাকে। সেই নির্দিষ্ট সময়ে আপনাকে নিয়মিত প্রতিদিন পড়াশোনা করতে হবে। তবে পড়াশোনা করার সবচেয়ে উত্তম সময় হচ্ছে সকালবেলা।
এই সময়টিতে পড়াশোনা করলে পড়া খুব মনে থাকে কারণ এই সময়ে আমাদের সকলেরই ব্রেন ফ্রেশ থাকে এবং সকালবেলাতে কোন ধরনের কোলাহল অর্থাৎ আশেপাশে শব্দ থাকে না ফলে পড়াশোনা করা যায় এবং যে কোন বিষয়কে অতি সহজে মনে রাখা যায়। ফলে ওই সময়ে আপনি যদি অল্প সময়ে পড়েন তাহলে বেশি পড়া মনে থাকবে।
পড়ার সময় চোখ দিয়ে ভালো করে দেখে পড়তে হবে
পড়া মনে রাখার আরেকটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো চোখ দিয়ে দেখে দেখে পড়া। আপনি যখন পড়াশোনা করবেন অবশ্যই বইয়ের দিকে তাকিয়ে পড়তে বসবেন। কারণ আমাদের মস্তিষ্ক সবচেয়ে ভালো মনে রাখে চোখ দিয়ে দেখা জিনিসগুলো। এখন যদি আপনাকে যে কোন বিষয়ের উপর প্রশ্ন করা হয় তাহলে আপনার মস্তিষ্ক সে বিষয়গুলোর প্রতিচ্ছবি আপনার ব্রেনে আসবে ফলে আপনি অতি সহজে উত্তর দিতে পারবেন। তাই বিশেষ করে চিত্র দিয়ে মনে রাখার চেষ্টা করবেন।
মনোযোগ দিয়ে অল্প অল্প করে পড়তে হবে
পড়া মনে রাখতে হলে আপনাকে অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে বিষয়টি অল্প অল্প করে পড়তে হবে। একটানা একটি পড়া কখনোই পড়া যাবে না। ধরুন আপনি বাংলার কোন রচনা পড়ছেন তাহলে আপনি রচনাটি প্রথম পাঁচটা পয়েন্ট প্রথমে মুখস্ত করবেন অর্থাৎ পড়বেন। প্রথম পাঁচটা পয়েন্ট মুখস্থ হয়ে গেলে আবার দ্বিতীয় চারটা পয়েন্ট মুখস্ত করবেন। এভাবে আপনিই পড়ার বিষয়বস্তু ভাগ ভাগ করে নিয়ে পড়বেন। আর অবশ্যই মনে রাখবেন একটানা কখনোই একটি বিষয় নিয়ে পড়বেন না। ভিন্ন ভিন্ন বিষয় পড়বেন।
লিখে লিখে পড়ার অভ্যাস করতে হবে
পড়ালেখা মনে রাখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে পড়া সাথে সাথে লেখার অভ্যাস করা। আপনি যে বিষয়টি পড়ছেন সেই বিষয়টি পড়ার সাথে সাথে লেখার চেষ্টা করবেন। লিখলে মনোযোগ দিয়ে পড়া হয়ে যায় তার সাথে সাথে পড়াটি আমাদের লং টার্ম মেমোরিতে স্থায়ী হয় তাই অবশ্যই লেখার অভ্যাস করবেন।
পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে
আমাদের মস্তিষ্ককে ফ্রেশ করার জন্য অবশ্যই আমাদের নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। দৈনিক জীবনের বিভিন্ন কাজ করা ফলে আমাদের মস্তিষ্কপ্রায় দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই মস্তিষ্ককে আরাম দিতে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানোর চেষ্টা করবেন।
বারবার রিভিশন করা
কোন পড়া একবার বললেই হবে না সেটাকে বারবার রিভিশন করতে হবে। যখন কোন বিষয়ে পড়ছেন সেটা শুধু যদি একবার পড়ে রেখে দেন আর জীবনে না পড়েন তাহলে সে বিষয়টি আমরা কখনোই মনে থাকবে না। আপনাকে সেই বিষয়টি বারবার রিভিশন দেয়ার মাধ্যমে মনে রাখতে হবে। কোন পড়াই একবার পড়লে তা মনে থাকে না বারবার পড়ার মাধ্যমে আমাদের স্থায়ী মেমোরিতে পড়াটি স্থায়ী করার জন্য বারবার রিভিশন করতে হয়।
আরো পড়ুনঃ
আর পড়াটি অবশ্যই জোরে জোরে পড়ুন যাতে আপনি নিজের কানে পড়াটি শুনতে পান ফলে পড়া দ্রুত মনে থাকে। আর অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট টার্গেট দিয়ে পড়তে বসবেন যে আপনি ওই বিষয়টি কতটুকু আজকে শেষ করবেন সেই নির্দিষ্টতা টার্গেট অনুযায়ী পড়বেন।
পড়াশোনা মনে রাখার উপায় - পড়া মনে রাখার ইসলামিক উপায়
তাহলে চলুন পড়াশোনা মনে রাখার কিছু উপায় সম্পর্কে বলি যেমনঃ
- পড়ার সময় খাতা কলম মার্কার সঙ্গ নিয়ে বসুন।
- গুরুত্বপূর্ণ কোনো কিছু মুখস্থ করতে হলে সেটিকে মার্কার দিয়ে চিহ্নিত করুন।
- কোনো কিছু মুখস্থ করতে হলে সাথে সাথে খাতায় লিখুন।
- যেটি পড়ছেন সেটি জোরে জোরে পড়ার চেষ্টা করুন যেন সেটি ডান কান দিয়ে প্রবেশ করে।
- যে জিনিসটি পড়ছেন বা মুখস্ত করছেন সেটি ইমাজিন করুন।
- প্রতিটি পড়া মুখস্ত করার ক্ষেত্রে বুঝে বুঝে পড়ুন এতে মন রাখতে সহজ হয়।
- একবার দেখে পড়া হয়ে গেলে সেটিকে না দেখে একা একা বলার চেষ্টা করুন।
- লেখার পর আপনার সেই পড়াটা মুখস্থ হয়েছে কিনা পুনরায় না দেখে লিখুন।
- কোন জিনিস মুখস্ত করার পর প্রত্যেকদিন সেটিকে একবার হলেও পড়ুন যেন আপনার মুখস্ত পড়া মেমোরিতে থেকে যায় ।
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার উপায়
পড়াশোনায় মন বসে না এটি সকলেরই একটি কমন রোগ পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার উপায় গুলো হলঃ
- পড়ার সময় আজে বাজে চিন্তা করবেন না।
- পড়ার জন্য শান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করবে যেন কোন রকম আওয়াজ বা কথাবাত্রা আপনার কানে না যায়।
- পড়ার সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন আপনার মনোযোগ নষ্ট করে দেবে।
- এক ঘন্টা পর পর 5, 10 মিনিট বিশ্রাম নিন পানি খান এবং হাঁটাহাঁটি করে আবার এসে পড়তে বসুন।
- নিয়মিত পড়তে বসার অভ্যাস গড়ে তুলুন যেন আপনি একঘন্টা হলেও বই নিয়ে বসবেন এটি নিজেকে প্রতিজ্ঞা করুন।
- পড়ার সময় পড়ার টেবিল ছাড়া কখনও বিছানা বা আরামদায়ক কোন জায়গায় বসে পড়বেন না ।
কিভাবে পড়াশোনা করলে ভালো রেজাল্ট করা যায়
কিভাবে পড়াশোনা করলে ভালো রেজাল্ট করা যায় নির্ভর করবে সম্পূর্ণ আপনার উপর আপনি কতটুকু পড়াশোনা করছেন, কতটুকু পড়ার প্রতি সময় ব্যয় করছেন এবং কতটুকু মনোযোগ সহকারে সেগুলো রপ্ত করতে পারছেন ।তবে ভালো রেজাল্ট করার মূল পয়েন্ট টি হল আপনাকে প্রতিদিন প্রতিদিনকার পড়া সম্পন্ন করতে হবে ।আজকের পড়া কালকের জন্য ফেলে রাখলে দেখবেন কোন পড়ায় আপনার হবে না।
আরো পড়ুনঃ
সুতরাং আপনার ক্লাসে প্রতিদিন যে পড়া হবে আপনি বাসায় প্রতিদিন সেই বইটি নিয়ে পড়বেন ।যাতে করে আপনার প্রতিদিনকার পড়া প্রতিদিন সম্পন্ন হয়ে যায় এবং আপনার প্রতি চাপ কমে যায় । ক্লাসে যা পড়বেন সবকিছু একটি খাতায় নোট করে রাখবেন এটি আপনাকে পুনরায় রিভিশন এর ক্ষেত্রে খুব বেশি সাহায্য করবে।
দিনে কয় ঘন্টা পড়া উচিত
দিনে কত ঘন্টা পড়বেন ?এই প্রশ্নটির উত্তর দিতে হলে বলব আপনার যতক্ষণ পর্যন্ত মনে হবে যে আপনি আপনার সারাদিনের পড়া সম্পূর্ণ করতে পেরেছেন। আপনি নিজে সন্তুষ্ট অর্থাৎ আপনার যতক্ষণ না মনের সন্তুষ্টি আসে ততক্ষণ আপনি পড়বেন ।অনেকেই আছে যাদের কোন জিনিস দুই ঘন্টায় মুখস্থ হয়ে যায় কারো একই জিনিস মুখস্ত করতে চার-পাঁচ ঘণ্টা লাগে ।
অর্থাৎ যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনার আয়ত্তে আসে আপনি যখন পড়তে থাকবেন তবে নিয়মিত পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ ঘন্টা পড়াশোনা করলেই যথেষ্ট ।এটি নির্ভর করবে আপনি কোন ক্লাসে পড়াশোনা করছেন এবং কি নিয়ে প্রিপারেশন নিচ্ছেন।
পড়া মনে রাখার ইসলামিক উপায়
পড়া মনে রাখার উপায় নিয়ে বলতে হলে ইসলামিক দৃষ্টিতে কিছু কথা না বললেই নয় । তো পড়া মনে রাখার ইসলামিক উপায় সম্পর্কেও আপনাদের কিছু বলি ,যেমন পড়ার সময় আপনি কিছু দোয়া পাঠ করতে পারেন ।যে দোয়া পাঠ করলে আপনি উপকার পেতে পারেন সেটি হলঃ
"রাব্বি জিদনি ইলমা"-অর্থ হে সৃষ্টিকর্তা আপনি আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন
এই দোয়াটি আপনি যখন তখন পাঠ করতে পারেন পড়তে যাওয়ার আগে অথবা যখন তখন। এছাড়াও আপনি খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে পড়তে বসার চেষ্টা করবেন ।কেননা সকালে সবকিছু শান্ত থাকে এবং পরিবেশ মনোরম থাকে এবং মানুষের ব্রেন ফ্রেশ থাকে ।তাই আপনি সেই সময় কোনো কিছু মুখস্থ করার চেষ্টা করলে আপনার সে জিনিসটি মাথায় খুব তাড়াতাড়ি এবং দীর্ঘক্ষন থাকে। এছাড়াও আরেকটি দোয়া রয়েছে। পড়াশোনা করার পূর্বে নিম্নে উল্লেখিত দোয়াটি আটবার পড়ে নিবেন আর পড়ার আগে অবশ্যই অজু করে নেবেন তাহলে দেখবেন পড়া দ্রুত মনে থাকবে। নিচে দোয়াটি দেওয়া হলোঃ
সুবহানাকা লা ইলমা লানা ইল্লা মা আল্লামতানা, ইন্নাকা আনতাল আলিমুল হাকিম।
অর্থঃ হে আল্লাহ আপনি পবিত্র। আমরা কোন কিছুই জানি না তবে আপনি আমার দিকে যা শিখিয়েছেন সেগুলো ব্যতীত নিশ্চয়ই আপনি প্রকৃত জ্ঞান সম্পন্ন, হেকমতওয়ালা।
সবশেষে আপনাদেরকে একটি কথা বলব ,মহান আল্লাহতালা সকলকে জ্ঞান দান করেছে সুতরাং সকলেই জ্ঞানের অধিকারী ।কারো মুখস্ত করার ক্ষমতা কম কারো বেশি তবে কেউ কম নয় ।কাউকে বেশিক্ষণ পড়তে হয় কেউ বা অল্প পরেই তার সমস্ত কিছু মুখস্থ হয়ে যায় ।সুতরাং ধৈর্য হারা না হয়ে প্রতিদিন অনুশীলন করার মাধ্যমে আপনারা যেকোনো পড়া মনে রাখতে পারবেন।
শেষ কথা।পড়া মনে রাখার ইসলামিক উপায়
প্রিয় পাঠক ও প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা এতক্ষণে পড়াশোনা মনে রাখার ইসলামিক উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে গেছেন। এছাড়াও আরো নিয়ম জেনেছেন যা আপনি সঠিকভাবে পালন করলে অতি সহজেই পড়াশোনা মনে রাখতে পারবেন এবং পড়াশোনা ভালো করতে পারবেন। তাই সঠিক নিয়মে পড়াশোনা করুন এবং নিয়মিত পড়াশোনা করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। তাহলে আপনি একমাত্র পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
আজকের ইনফো নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url