কাঁচা আম খাওয়ার ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা নিশ্চয়ই আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে
আজকের পোস্টটিতে এসেছেন। আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা কাঁচা আম খাওয়ার
উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান। তাদের জন্যই আজকে পোস্টটিতে কাঁচা আম খাওয়ার
উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।
পোস্টসূচিপত্রঃআজকে আপনি এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়লে
কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা কাঁচা আমের অপকারিতা আমের ক্ষতিকর দিক পাকা আমের
উপকারিতা ও অপকারিতা আম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে
চলুন এখন বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়া যাক।
ভূমিকা
প্রতি বছর গ্রীষ্মকালীন সময়ে বাহিরে যখন প্রচন্ড পরিমাণে দাবদাহে ভরপুর, সেই
সময়েই আমরা সকলেই আম খেতে প্রচন্ড পরিমাণে ভালোবেসে থাকি। এই গরমের দাবদাহ থেকে
স্বস্থি পেতে আমরা অনেকেই আবার আমপোড়া, লবন দিয়ে আমের শরবত, আমের ডাল, আমের আচার
খেয়ে থাকি। আমের প্রতি ভালোবাসা নেই অথবা আম খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ এমন
মানুষ খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব।
আরো পড়ুনঃ রসুনের দশটি উপকারিতা ও অপকারিতা
তাই আপনাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা কাঁচা আম খেতে চান এবং সাথে কাঁচা আম খাওয়ার
উপকারিতা সম্পর্কে জানার আগ্রহ করে থাকেন। তাদের জন্যই আমরা আজকের পোস্টটিতে
কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা ও কাঁচা আমের অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। তাছাড়া
আপনারা কাঁচা আম কিভাবে খেতে পারেন সে সম্পর্কে তুলে ধরা হবে। মূলত আজকের
পোস্টটিতে কাঁচা আম সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই সকল কিছু জানতে শেষ
পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকুন।
কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা
গ্রীষ্মকালীন সময়ে যখন প্রচন্ড গরম থাকে সেই সময়েই আমাদের দেশে আমের আগমন ঘটে।
একজন বাঙালি হিসেবে আম খেতে পছন্দ করেন না এমন ব্যাক্তি নাই বললেই চলে। সকলেই আম
খেতে অনেক ভালোবাসে থাকেন। আমরা কাঁচা আম বিভিন্নভাবে খেয়ে থাকি। যেমন আমের শরবত,
আমপোড়া, আমের ডাল, আম পান্না ইত্যাদিভাবে আমরা খেয়ে থাকি। আমরা যে এই কাঁচা আম
খাই তাতে কি আদৌ আমাদের উপকার হয়। আপনি যদি না জেনে থাকেন কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে, তাহলে এখনই জেনে নিন।
আরো পড়ুনঃ চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
অনেক বিশেষজ্ঞব্যক্তিগণ কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতার ব্যাপারে অনেক তথ্য প্রদান
করেছেন। তিনারা বলেছেন যে, ১০০ গ্রাম কাঁচা আমে প্রায় ৪৪ ক্যালরি পটাশিয়াম থাকে।
এছাড়াও আরো উপাদান পাওয়া যায়। সেগুলো হলো ৫৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি এবং ২৭
মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায়।
এছাড়াও কাঁচা আম খেলে আরো উপকার পাওয়া যায়। সেগুলো হলোঃ
- গরম থেকে রক্ষা করে শরীর ঠান্ডা রাখে।
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- আমাদের ত্বক ভালো রাখে।
- শরীরের ঘামাচি দূর করতে সাহায্য করে।
- চুল চকচকে করে ও চুলের স্বাস্থ ভালো রাখে।
- হজমক্রিয়ায় সাহায্য করে থাকে।
- পেটের বিভিন্ন সমস্যা কমায়।
- চোখের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে।
- মুখের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে।
কাঁচা আমের অপকারিতা
আম আমাদের বাংলাদেশের সকলের জন্য প্রায় পছন্দের ফল। আমকে ফলের রাজা হিসেবে
বিবেচনা করা হয়। আমে প্রচুর পরিমাণে বিবেচিত পুষ্টিগুণ থাকলেও আমের কিছু
পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া রয়েছে। সবকিছুতে যেখানে উপকারিতা রয়েছে সেখানে অল্প
সামান্য পরিমাণ হলেও কিছুটা অপকারিতাও রয়েছে। আপনি যদি আমের অপকারিতা সম্পর্কে
না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ে এখনই জেনে নিন।
আরো পড়ুনঃ
পাকা আম খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা
অধিক পরিমাণে আম খাওয়ার কারণে আমাদের শরীরে বিভিন্ন অসুবিধা হতে পারে। আমে যেসকল
অপকারিতাগুলো রয়েছে সেগুলো হলোঃ
- আম শরীরের অ্যালার্জি বাড়াতে পারে।
- রক্তে শর্করার পরিমাণ অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পেতে পারে।
- শরীরের ওজন অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পেতে পারে।
- পেটের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- আপনার হাপানি থাকলে হাঁপানি বৃদ্ধি পেতে পারে
- শরীরের সুগারের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ডায়াবেটিসের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে যেতে পারে।
- অ্যাজমাতে আক্রান্ত ব্যাক্তির আম খাওয়া উচিত নয়।
- আমের ক্ষতিকর দিক
অতিরিক্ত আম খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে অনেক ক্ষতি হতে পারে। যেই জিনিসের অনেক উপকারি
দিক রয়েছে সেই জিনিসের আবার অনেক ক্ষতিকর দিক ও রয়েছে। আমের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে
আমাদের সকলের বিস্তারিত জেনে থাকা উচিত। তাহলে চলুন এখন আমরা সকলেই জেনে নেই আমের
ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ
অতিরিক্ত পরিমাণে আম খেলে যেসকল ক্ষতি হতে পারে সেগুলো নিম্নে বর্নণা করা হলো।
কৃত্রিমভাবে পাকানো আমের সমস্যাঃ আম অল্পদিনেই পাকিয়ে বাজারজাত করার জন্য আমে
ক্যালশিয়াম কার্বাইড ব্যবহার করা। যেটি মানব শরীরের জন্য একটি বিষের সমান। এইভাবে
পাকানো আম খেলে আমাদের শরীরের উপর বিভিন্ন রকম প্রভাব ফেলতে পারে। সেগুলো হলোঃ
শরীরে ক্লান্তি, শরীর অবশ বোধ করা ইত্যাদি। এবং এর ফলে আমাদের ত্বকেরও নানান রকম
সমস্যা হতে পারে।
অ্যালার্জির সমস্যায়ঃ আপনাদের মধ্যে যেসকল ব্যক্তির আমে অ্যালার্জি
রয়েছে সেই সকল ব্যক্তিগন আপনাদের আম খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করুন। আর না হলে আপনাদের
শরীরে অ্যালার্জি বেরে যেতে পারে। এবং এছাড়াও চোখ জ্বালা করা, হাঁচি হওয়া, পেটে
ব্যথা করা, ঠাণ্ডা লেগে যাওয়া সহ আরো নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বাতের ব্যথায়ঃ আপনাদের মধ্যে যেসকল ব্যক্তি বাতের ব্যাথায় ভোগেন তারা
আম এড়িয়ে চলুন। আর না হলে আপনার এই আম খাওয়ার জন্য আপনার শরীরের বাতের ব্যাথা
বেড়ে যেতে পারে পর্যাপ্ত পরিমাণে।
ডায়াবেটিস রোগীদের সমস্যাঃ আমে প্রচুর পরিমাণে ফ্রুকটোজ রয়েছে। আমের
এই ফ্রুকটোজ আমাদের শরীরের রক্তে চিনির পরিমাণ বৃদ্ধি করে দেয়। যার ফলে শরীরে
ডায়াবেটিসের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে। আর ডায়বেটিস রোগিদের জন্য একটি বিপদ ডেকে
আনতে পারে। তাই আম খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপর আম খাবেন।
এছাড়াও আমের অনেক পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই আমাদের সকলের আম খাওয়ার
পূর্বে অবশই সচেতন হতে হবে। এবং খুব একটা বেশি না খেয়ে নিয়ম মেনে নিয়মিত পরিমাণ
আম খেতে হবে।
পাকা আমের উপকারিতা ও অপকারিতা
আরো পড়ুনঃ কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
পাকা আম খাওয়ার যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি অপকারিতা ও রয়েছে। তাই আমাদের আম
খাওয়ার পূর্বে এই সকল বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া উচিত। আর তা না হলে আমরা
অতিরিক্ত পরিমাণে পাকা মুখে বিপদেও পড়তে পারি। তাই আমরা এখন পাকা আমের উপকারিতা
ও অপকারিতা সম্পর্কে জানব।পাকা আমের যে সকল উপকারিতা গুলো রয়েছে সেগুলো হলঃ
- ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে
- আমাদের শরীরের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে
- আমাদের ত্বককে শরীরের ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
- আমাদের চোখের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে এবং চোখের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- শরীরকে সুস্থ রাখতে অনেক সাহায্য সহযোগিতা করে থাকে।
এখন আমরা জানবো পাঁকা আমের অপকারিতা সম্পর্কে। পাকা আমের যে সকল অপকারিতাগুলো
রয়েছে সেগুলো হলঃ
- শরীরের ডায়বেটিস বৃদ্ধি পেতে পারে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে পাঁকা আম খাওয়ার ফলে অ্যাজমা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে পাঁকা আম খেলে শরীরে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।
- হাপানি থাকলে হাঁপানি বৃদ্ধি পেতে পারে
- কিডনির সমস্যা দেখা দিতা পারে।
এছাড়াও আরো অনেক সমস্যা হতে পারে অতিরিক্ত পরিমাণে পাকা আম খাওয়ার ফলে। তাই
আমাদের সকলের সতর্কতা অনুযায়ি আম খাওয়া উচিত।
আম খাওয়ার নিয়ম
ফলের রাজা মানেই আম। আর গ্রীষ্মকাল মানেই ফলের রাজা আমের আগমনের সময়। আম অনেক
মিষ্টি ও অনেক সুস্বাদু হয়। আমরা আম হয়তো বাড়ির গাছের আম পেয়ে থাকি আর না হয়তো
কোথাও থেকে কিনে খেয়ে থাকি। আম খাওয়ার সময় আমাদের অনেকগুলো নিয়ম মেনে খাওয়া উচিত।
আর না হলে আমরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখ্যিন হব। তাহলে চলুন এখন আম খাওয়ার নিয়ম
সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আম খাওয়ার সময় অবশ্যই আমাদের যে নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে সেগুলো হলোঃ
আমের সঙ্গে ভুলেও কখনোই দই খাওয়া যাবে নাঃ বর্তমানে এখন প্রায়ই দেখা
যায় যে সকলেই দই এর সাথে আম মিশিয়ে খান। এটা মূলত ফালুদার মতোই রেসিপি বানিয়ে
খাওয়ার চল এসে গেছে। তবে আপনাদের অবশ্যই জেনে রাখা উচিত আম আর দই একসাথে খাওয়া
অনেক ক্ষতিকর। আমের কিছু পরিমাণ উপাদান রয়েছে যেগুলো দই এর সাথে মিশে গিয়ে
বিক্রিয়া করে খাদ্য হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায়। যার ফলে আমাদের পেটে গ্যাস তো
হয়ই তার সাথে সাথে আমাদের ত্বকের ও অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আম খাওয়ার পরে পানি পান করা যাবে নাঃ অনেকে এমন আছেন যে আম খাওয়ার
পরপরই পানি পান করে থাকেন। কিন্তু এমন টা করা মোটেও উচিত নয়। আম খাওয়ার পরপরই
পানি খেলে পেটে অ্যাসিড হয়ে যেতে পারে। কারণ আমে যে সকল উপাদানগুলি রয়েছে, সেগুলো
হজম হয়ে শরিরের সাথে মিশতে প্রায় বেশ অনেকটাই সময় লাগে। তাই আম খাওয়ার অন্তত ৩০
মিনিট পরে পানি খাওয়া উচিত।
আম খাওয়ার আগে ভিজিয়ে রাখতে হবেঃ আগে গ্রামে এমনটা দেখা যেত যে, আম
গাছ থেকে পারার পরে সেগুলো পানিতে ভিজিয়ে রাখা হত। কিন্তু বর্তমানে আধুনিক
মানুষগন নিজের গাছ থেকে পারুক আর কিনেই আনুক না কেন সেগুলো নিয়ে এসে সাথে সাথেই
খেয়ে নেন। কিন্তু আপনাদের জানিয়ে রাখি আম নিয়ে এসে সাথে সাথেই খেয়ে নেওয়া ঠিক নয়।
কারণ আমে রয়েছে ফাইটিক অ্যাসিড। যা আমাদের শরীরে প্রবেশ করলে অনেক ক্ষতি হতে
পারে।
তাই আপনি যখন আম খাবেন তার পূর্বে অবশ্যই ৪-৫ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপরে
সেই আম ভালো করে ধুয়ে নিয়ে খান। এতে করে আমে থাকা যে ফাইটিক অ্যাসিড সেটি পানিতে
মিশে ধুয়ে চলে যাবে। যাতে করে আপনার শরীরের ওপর কোন খারাপ প্রভাব পরবে না।
রাতের খাবারের পর পরই আম খাওয়া যাবে নাঃ রাতের খাবারের পর পরই আম
খাওয়া উচিত নয়। কারণ আম হল ভারী ফল। আমে ক্যালোরির মাত্রা অনেক বেশি পরিমাণে
থাকে। আপনি যদি রাতে খাবার খাওয়ার পর পরেই আম খান তাহলে আপনার খাবার হজমে সমস্যা
হতে পারে এবং সে সাথে আপনার শরীরের ওজন ও অনেক পরিমাণে বৃদ্ধি পেতে পারে।
তাই আপনি আম বিকেলে বা সন্ধ্যায় খেতে পারেন। আবার আপনি দুপুরে খাবারের পরেও খেতে
পারেন। তবে রাতে খাবারের পরে একেবারেই আম খাওয়া উচিত নয়। তাই আমাদের সকলকে এই সকল
নিয়ম মেনে আম খাওয়া উচিত।
কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর(FAQ)
প্রশ্নঃ প্রতিদিন আম খেলে কি হয়?
উত্তরঃ কাঁচা আমের রয়েছে ভিটামিন সি যা আমাদের দেহের ভিটামিন সি চাহিদা পূরণ
করতে পারে এবং দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
প্রশ্নঃসকালে খালি পেটে আম খেলে কি হয়?
উত্তরঃ সকালে খালি পেটে আম খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সকালে খালি
পেটে আম খাবেন না।
প্রশ্নঃআম খেলে কি মোটা হওয়া যায়?
উত্তরঃ গবেষণায় দেখা গেছে আম খেলে মোটা হওয়া যায়। আমে ক্যালরির মাত্রা বেশি
থাকার কারণে ওজন বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রশ্নঃআম খেলে ওজন বাড়ে কি?
উত্তরঃ আম খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ আমে রয়েছে
বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর উপাদানের সাথে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি রয়েছে।
প্রশ্নঃ১০০ গ্রাম আমে কত ক্যালরি আছে?
উত্তরঃ ১০০ গ্রাম আমে রয়েছে ১০৭ গ্রাম ক্যালোরি।
প্রশ্নঃপাকা আম খেলে কি কোলেস্টেরল বাড়ে?
উত্তরঃ পাকা আম খেলে কোলেস্টেরল বাড়ে না। কিন্তু কাঁচা আম খেলে কোলেস্টেরল
কমানো যায়।
শেষ কথা
আশা করছি আপনি আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে আম খাওয়ার উপকারিতা ও
অপকারিতা ও আম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আপনি যদি এরকম
আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল পড়তে চান তাহলে প্রতিদিন নিয়োমিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট
করুন। আর আপনার যদি আজকের আর্টিকেলটী ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের
সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
আজকের ইনফো নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url