স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন ভাবসম্প্রসারণ
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আপনারা কি স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন ভাবসম্প্রসারণ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন বা পড়তে চাচ্ছেন। তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমরা আজকের পোস্টটিতে আপনাদের জন্য স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন ভাবসম্প্রসারণ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করব।
প্রিয় পাঠক আপনি যদি স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন ভাবসম্প্রসারণ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন
ভাব-সম্প্রসারণঃ স্বাধীনতা জাতীয়জীবনের অমূল্য সম্পদ। স্বেচ্ছায় কেউ স্বাধীনতা পায় না। সংগ্রামের মাধ্যমে তা অর্জন করতে হয়। কিন্তু তদপেক্ষা বেশি সংগ্রামী সতর্ক ও সৃষ্টিশীল হতে হয় স্বাধীনতা রক্ষায়।
স্বাধীনতা মানুষের জন্মগত অধিকার। আর মানুষ মাত্রই স্বাধীনতাপ্রিয়। এ প্রসঙ্গে প্রাবন্ধিক ইসমাইল হোসেন সিরাজীর উক্তিটি প্রণিধানযোগ্য: 'আলোক ব্যতীত যেমন পৃথিবী জাগে না, স্বাধীনতা ব্যতীত তেমনি জাতি কখনও বাঁচতে পারে না।' পরাধীন হয়ে কোনো মানুষ বেঁচে থাকতে চায় না। তাই মানুষ স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করে, সংগ্রাম করে, যুদ্ধ করে। অনেক অমূল্য জীবন বিসর্জন দিয়ে এবং রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমেই কেবল স্বাধীনতা অর্জিত হতে পারে।
স্বাধীনতা অর্জিত হলেই সংগ্রাম শেষ হয়ে যায় না। তখন বিজয়ী জাতির সামনে আসে স্বাধীনতা রক্ষার সংগ্রাম। সে সংগ্রাম আরো বেশি কঠিন। স্বাধীনতা-যুদ্ধের সময় শত্রু চিহ্নিত থাকে, তাই তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করাও সহজ, কিন্তু স্বাধীনতার পর প্রকৃত শত্রুদের চেনা যায় না। তাই তাদের দমন করা খুব দুরূহ হয়ে পড়ে। স্বাধীন দেশের ভেতরের শত্রু আর বাইরের শত্রু একত্রিত হয়ে যে-কোনো সময় স্বাধীনতা নস্যাৎ করে দিতে পারে।
সুতরাং প্রতিক্রিয়াশীল হিংসাত্মক তৎপরতা থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজন হয় সর্তক নজরদারি। পরাধীন জাতি অনেক সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষা আর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতার গৌরবময় সূর্যকে অর্জন করে। জাতির যে-কোনো দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে যেন পরাজিত শত্রু স্বাধীনতার সেই সূর্যকে ছিনিয়ে নিতে না পারে, সে ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
আজকের ইনফো নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url