জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান ভাবসম্প্রসারণ(৩০০+ শব্দের)
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আপনারা অনেকেই গুগলে জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান ভাবসম্প্রসারণ সম্পর্কে জানতে সার্চ করে থাকেন। তবে কোথাও সঠিক তথ্য খুঁজে পান না। তাই আপনাদের জন্য আজকের পোস্টটিতে জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান ভাবসম্প্রসারণ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করব।
প্রিয় পাঠক আপনি যদি জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান ভাবসম্প্রসারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান
ভাব-সম্প্রসারণঃ জীবজগতে পশুর যেমন জ্ঞানবুদ্ধি ও বোধশক্তি নেই, তেমনি জ্ঞানহীন মানুষ আর পশুর মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না। জ্ঞানচর্চার দ্বারা মানুষ যথার্থ মনুষ্যত্বের অধিকারী হয়ে ওঠে। তাই বলা হয়, 'জ্ঞানার্জন ধনার্জনের চেয়েও মহত্তর।'
মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। এ শ্রেষ্ঠত্বের সম্মান সে লাভ করেছে একমাত্র তার জ্ঞান বুদ্ধির জন্য। বিচার বুদ্ধি ও প্রজ্ঞার দ্বারা সে তার শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দেয়। অন্যান্য প্রাণীর সাথে মানুষের তফাৎ এই যে, মানুষ কোনো কিছু পর্যালোচনাপূর্বক বিবেক দিয়ে ভালোমন্দ চিহ্নিত করতে পারে। অন্যান্য জীবের মধ্যে এ উপাদানটি অবর্তমান। প্রকৃতিগতভাবে প্রতিটি মানুষের মধ্যে জ্ঞান সুপ্ত অবস্থায় বিরাজ করে। তবে অনুশীলনের মধ্যে জ্ঞানের বিকাশ ঘটে।
আরো পড়ুনঃ অর্থই অনর্থের মূল ভাবসম্প্রসারণ
সুতরাং পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হলে প্রতিটি মানুষেরই জ্ঞানচর্চা করা অপরিহার্য। অন্যথায় তার বিবেক পূর্ণভাবে বিকশিত হবে না। যদি মানুষের সুপ্ত জ্ঞান বিকশিত না হয়, তাহলে সে হবে পশুর সমান। কারণ পশু জ্ঞানহীন ও নির্বোধ। তার বিবেকবুদ্ধি খুব কম। তাই তার সব চিন্তাভাবনা শুধু নিজেকে ঘিরেই। শুধু নিজেকে বাঁচিয়ে রাখাই তার কাজ। সেজন্য বড় পশু ছোটগুলোকে হত্যা করে আহার করে। জ্ঞানহীন মানুষও পশুর মতো আচরণ করে।
জ্ঞানের আলো পায় নি বলে স্রষ্টার সৃষ্ট শ্রেষ্ঠ জীব হলেও তার বুদ্ধি বিকশিত হয় নি। তাই সে অজ্ঞতার অন্ধকারে ডুবে আছে। সে নিজেকে চিনতে পারে নি ও মানুষ হিসেবে তার কর্তব্য কি তা বুঝে উঠতে পারে। তাই তার মাঝে পশুত্বই প্রাধান্য বিস্তার করেছে। পরে সে স্বার্থান্ধ হয়ে নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য পশুর মতো আচরণ করছে এবং ভাইয়ের বুকে ছুরি বসিয়ে ধন-প্রাণ ছিনিয়ে নিচ্ছে। এভাবে সে মনুষ্যত্বের অবমাননা করছে এবং পৃথিবীতে মানবজীবনের উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিচ্ছে।
এসব পশুর ন্যায় কর্মকাণ্ড থেকে মুক্তি পেতে হলে জ্ঞান অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। জ্ঞানই মানুষকে সৎ, সুন্দর এবং আদর্শবান রূপে গড়ে তোলে। মানুষকে পরিপূর্ণতা এনে দেয়। সুতরাং পৃথিবীর বিখ্যাত দার্শনিক প্লেটোর ভাষায় বলা যায়, "অজ্ঞ থাকার চেয়ে পৃথিবীতে না জন্মানোই ভালো, কারণ, অজ্ঞতা সব দুর্ভাগ্যের মূল।
" আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (স) বলেছেন, "সুদূর চীন দেশে গিয়ে হলেও জ্ঞানচর্চা কর।"
জ্ঞান ও প্রজ্ঞার আলোকে আলোকিত ব্যক্তি সবকিছু বিবেচনা করে সিদ্ধান্তে নিতে সক্ষম। পক্ষান্তরে নির্বোধ লোকের পক্ষে তা সম্ভব নয়। নির্বোধ ব্যক্তির জীবন পশুর মতো অভিশপ্ত।
আজকের ইনফো নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url