মহান স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ রচনা সকল ক্লাসের জন্য
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আপনার নিশ্চয়ই মহান স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ রচনাটি পড়তে চাচ্ছেন। এই অনুচ্ছেদ রচনাটি প্রায় সকল পরীক্ষাতে দেখা যায়। তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ । বাংলাদেশের ইতিহাসে মহান স্বাধীনতা দিবস অন্যতম। তাই প্রিয় শিক্ষার্থী আপনি যদি স্বাধীনতা দিবস রচনাটি সম্পর্কে পড়তে চান ও জানতে চান তাহলে আজকের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
মহান স্বাধীনতা দিবস
২৬ শে মার্চ, বাঙালির শৃঙ্খল মুক্তির দিন। মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ২২শে জানুয়ারি ডিজিটাল প্রঙ্গাপন জারি করে এ দিনটিকে 'জাতীয় দিবস' হিসেবে ঘোষণা করা হয়। স্বাধীনতা দিবস হলো বিশ্বের বুকে লাল-সবুজের পতাকা উড়ানোর দিন। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭০ সাল, এই ২৩ বছরের পাকিস্তানি শোষণ, বঞ্চনার বিরুদ্ধে বাংলার জনগণ মুক্তি ঘোষণা করেছিল ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে। কিন্তু, নির্বাচনে জয়ী হয়েও বাঙালিরা ক্ষমতায় যেতে পারেনি পাকিস্তানি চক্রান্তের কারণে।
বাঙালি জাতিকে চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ কালরাত্রিতে পাকিস্তানি হায়েনারা ঘুমন্ত নিরীহ বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাঙালিদের গণহারে হত্যা করা হয়, গ্রেফতার করা হয় বাঙালির মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। গ্রেফতারের পূর্বে বঙ্গবন্ধু ইপিআরের ওয়্যারলাসের মাধ্যমে স্বাধীনতার ডাক দেন। ইংরেজিতে ঘোষণা করা সেই স্বাধীনতা ঘোষণার বাংলা অনুবাদ হলো: 'এটাই হয়ত আমার শেষ বার্তা আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন।
বাংলাদেশের জনগণ, তোমরা যে যেখানেই আছ এবং যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শেষ পর্যন্ত দখলদার সৈন্যবাহিনীকে করা, প্রতিরোধ করার জন্য আমি তোমাদের আহ্বান জানাচ্ছি। চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত তোমাদের যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে।' তিনি বাংলায়ও একটি বার্তা পাঠান। পরবর্তীতে ২৬ শে মার্চ দিনে আওয়ামী লীগ নেতা এম.এ হান্নান এবং ২৭শে মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। এভাবেই বিশ্বের বুকে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে, শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বাংলাদেশ সার্বভৌমত্ব অর্জন করে।
আজকের ইনফো নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url