ভাব-সম্প্রসারণঃ অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা যেন তারে তৃণ সম দহে
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আপনারা কি অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা যেন তারে তৃণ সম দহে উক্ত ভাবসম্প্রসারণটি সহজভাবে পড়তে চাচ্ছেন। তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের পোস্টটির মাধ্যমে আমরা অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা যেন তারে তৃণ সম দহে উক্ত ভাবসম্প্রসারণটি তুলে ধরার চেষ্টা করব। তাই শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকুন।
উক্ত ভাব সম্প্রসারণ টি সম্পর্কে জানতে আজকের পোস্টটি গুরুত্ব সহকারে পড়ে থাকুন। কারণ আপনি যদি ক্লাস সেভেন অথবা ক্লাস ১০ এর স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার জন্য এই ভাবসম্প্রসনটি গুরুত্বপূর্ণ হবে। কারণ এটি সচারচর পরীক্ষায় এসে থাকে।
অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে
তব ঘৃণা যেন তারে তৃণ সম দহে
ভাব-সম্প্রসারণঃ অন্যায়কারী ও অন্যায় সহ্যকারী উভয়ই সমান দোষী। তাই নিজে অন্যায় না করলেই যে কর্তব্য ফুরিয়ে যাবে, এমনটি নয়। বরং অন্যায়কে প্রতিহত করতে হবে।সমাজকে যারা উৎপীড়ন করে, ব্যক্তির অধিকারকে যারা হরণ করে মানুষের বহু অভিজ্ঞতা এবং প্রযত্নে রচিত আইন ও শৃঙ্খলাকে যারা বিঘ্নিত করে তারা নিঃসন্দেহে অন্যায়কারী।
আর আইনের দৃষ্টিতে-অন্যায়কারী সর্বদাই দণ্ডযোগ্য বলে বিবেচিত। কিন্তু যারা অন্যায়কে মাথা পেতে নেয়, অন্যায়কে নিরবে নিঃশব্দে সহ্য করে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করেনা, তারাও কি পরোক্ষভাবে অন্যায়কে প্রশ্রয় দিয়ে সমান দোষী নয়? অবশ্যই তারাও সমান দোষী, সমান অপরাধী। দয়া দেখিয়ে অন্যায়কারীকে আশ্রয় দেয়া কিংবা উদারতা প্রদর্শন করে অন্যায়কে ক্ষমা করার মধ্যে কোন মহত্ত্ব তো নেই-ই বরং তাও অন্যায়কারীর মতো সমান অপরাধের কাজ।
তাই- ক্ষমা মহৎ গুণ হলেও সব ধরনের অন্যায়ের ক্ষেত্রে ক্ষমা প্রদর্শন সমীচীন নয়। কারণ অন্যায়কারীর উপযুক্ত বিচার না হলে সমাজে অন্যায় কাজের প্রভাব বেড়ে গিয়ে সমাজকে অপরাধের আখড়ায় পরিণত করবে। ফলে সমাজ হয়ে উঠবে অন্যায়, অপরাধের লীলাক্ষেত্র এবং মানুষ বসবাসের অনুপযোগী। তাই সর্বজনীন কল্যাণ নিশ্চিত করার স্বার্থে অন্যায়কারীকে সাজা দেয়া উচিত। কোনো অবস্থাতেই বিনা বিচারে তাকে ক্ষমা করা উচিত নয়।
ক্ষমা দুর্বলতার পরিচায়ক, অন্যায়ের শামিল অনুরূপ ক্ষমা বাঞ্ছনীয় নয়। তাই যে অন্যায় করে এবং যে সহ্য করে উভয়ই ঘৃণাযোগ্য। প্রতিবাদ, প্রতিরোধের মাধ্যমে অন্যায়কে রুখতে হবে। তবেই সমাজে সুস্থ পরিবেশ ফিরে আসবে।সৃষ্টিকর্তা অন্যায়কারী ও অন্যায় সহ্যকারীকে সমভাবে ঘৃণা করেন। আমাদের উচিত সর্বদা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
শেষ কথা
আশা করছি আপনারা ভাব সম্প্রসারণ টি এতক্ষণে পড়ে ফেলেছেন। ভাব সম্প্রসারণটি যদি ভালো লেগে থাকে এবং সহজ হয় তাহলে পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন এবং এ ধরনের শিক্ষামূলক ভাব সম্প্রসারণ পেতে ও রচনা পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।
আজকের ইনফো নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url