মিথ্যা শুনিনি ভাই এই হৃদয়ের চেয়ে বড় কোন মন্দির কাবা নাই
প্রিয় পাঠক আপনার অনেকে আছেন যারা মিথ্যা শুনিনি ভাই এই হৃদয়ের চেয়ে বড় কোন মন্দির কাবা নাই এই ভাবসম্প্রসারণটি সম্পর্কে জানেন না। তাদের জন্য আমরা আজকের পোস্টটিতে মিথ্যা শুনিনি ভাই এই হৃদয়ের চেয়ে বড় কোন মন্দির কাবা নাই ভাবসম্প্রসারণটির বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করব।
ভাব সম্প্রসারণ টি সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলে মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।মিথ্যা শুনিনি ভাই এই হৃদয়ের
চেয়ে বড় কোন মন্দির কাবা নাই
ভাব-সম্প্রসারণঃ প্রতিটি মানুষের মনের মন্দিরে বসবাস করেন মহান সৃষ্টিকর্তা। যেখানে সৃষ্টিকর্তার আবাস, সেখান থেকে উপযুক্ত পবিত্র কোনো উপাসনালয় থাকতে পারে না। মনের মন্দিরেই স্রষ্টার প্রতি আরাধনা হয় নিগূঢ়ভাবে। তাই জাগতিক যত মসজিদ, মন্দির, গির্জা থাকুক না কেন, হৃদয়ের স্থান সবচেয়ে ঊর্ধ্বে।
হৃদয় আছে বলেই মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। হৃদয় আছে বলেই মানুষের মধ্যে প্রেম আছে, কল্পনা আছে সৌন্দর্যবোধ আছে, ধর্ম আছে। পৃথিবীর সকল পাপ-পুণ্য, ভাল-মন্দ, ধর্ম-অধর্মের পার্থক্য নির্ধারণে মানুষকে পরিচালিত করে তার মন। এ মন বা হৃদয় দ্বাৎ পরিচালিত হয়ে মানুষ সৎ কাজ করে এবং আত্মার তৃপ্তি অর্জন করে। দৈনন্দিন-জীবনের দ্বন্দ্ব- সংঘাত, হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-লালসা, স্বার্থচিন্তা, কুমন্ত্রণা, ক্লেদাক্ত সংস্পর্শে হৃদয়ের অকৃত্রিম হৃদয়বৃত্তি ক্রমশ ক্ষয়ে যেতে থাকে।
তা তখন বাইরের বস্তুগত জিনিসের প্রতিবিম্বে ভরপুর হয়ে ওঠে। ব্যক্তির হৃদয় পূর্ণ হয়ে যায় পাপে আর জঘন্যতায়। তখন জীবন ও জগতের মহাসত্যের সন্ধানে-মসজিদ, মন্দির, গির্জায় ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটে যেতে হয়। মুক্তির সন্ধানে তাকে বাইরের ভুবনে কেঁদে ফিরতে হয়। কিন্তু মুক্তি তো ভেতরের জিনিস, তাকে কি আর বাইরে মসজিদ-মন্দিরে পাওয়া যায়? মুক্তি-সুধার স্বতঃস্ফূর্ত ঝর্ণাধারা থেকে সুধা পান করতে হলে তার উৎসমূল হৃদয়েই খোঁজ করতে হবে। কারণ, প্রকৃত মুক্তির সন্ধান রয়েছে হৃদয়ের স্বর্গীয় মন্দিরে। তার উপর বড় উপাসনালয় আর নেই।
হৃদয়ই উপাসনার সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান। তাই আমাদের মনকে সবসময় কলুষমুক্ত রাখতে হবে। কেননা, হৃদয় কলুষিত হলে দিনরাত আরাধনা করলেও কোন ফল হবে না।
আজকের ইনফো নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url