অভাব অল্প হলে দুঃখও অল্প হয়ে থাকে - অভাব নিয়ে শিক্ষণীয় কথা
প্রিয় বন্ধুরা, আজকের পোস্টটিতে আমরা অভাব অল্প হলে দুঃখও অল্প হয়ে থাকে এই ভাবসম্প্রসারণটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আপনারা যদি অভাব অল্প হলে দুঃখও অল্প হয়ে থাকে ভাবসম্প্রসারণ ও অভাব নিয়ে শিক্ষণীয় কথা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
অভাব অল্প হলে দুঃখও অল্প হয়ে থাকে
ভাব-সম্প্রসারণঃ পৃথিবীতে যে মানুষের চাহিদা যত কম তার মধ্যে না পাওয়ার কষ্টও তত কম। কারণ চাহিদা বা অভাববোধ থেকেই মানুষের মনে কষ্ট বা দুঃখবোধ জন্ম নেয়।
চাহিদা বা অভাববোধ থেকেই মানুষের মনে দুঃখবোধ জন্মে। চাহিদার তারতম্যের ওপর নির্ভর করে দুঃখবোধের স্বল্পতা বা আধিক্য। ধনী-দরিদ্র সকলেরই অভাব আছে। তবে তাদের মধ্যে অভাবের ধরন এক নয়। বস্তুত প্রাপ্ত সম্পদ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকলে কোনো দুঃখ থাকে না। ধনীদের অনেকেই গগনচুম্বী অট্টালিকায় বাস করে বিলাস সামগ্রীর মধ্যে ডুবে থাকলেও আরও বেশি পাবার আশায় সর্বদা চিন্তাক্লিষ্ট থাকে।
সম্পদ বৃদ্ধির নেশায় উন্মাদের মতো ছুটতে থাকে, এমনকি বৈধ-অবৈধ যে পন্থাই হোক, তা অবলম্বন করতে দ্বিধা করে না। দরিদ্র জনগণের মুখের অন্ন পর্যন্ত কেড়ে নেয়। অপরদিকে বিত্তহীনরা বিত্তবানদের ধনৈশ্বর্য দেখে সম্পদ আহরণের ব্যর্থ চেষ্টা করে এবং সর্বদা হা-হুতাশ করে। বস্তুত যে কোনো জিনিসের আধিক্য মানবজীবনে বিপর্যয় সৃষ্টি করে। বিশেষ করে পার্থিব সম্পদ মানুষকে ক্রমেই অতৃপ্ত করে তোলে এবং মনুষ্যত্ব বিলীন করে দেয়।
স্বল্পাহার যেমন মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, তদ্রূপ অল্প চাহিদাসম্পন্ন মানুষ সহজেই নিজেকে সুখী ভাবতে পারে। মানুষ যদি তার যা আছে সেগুলো নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে তাহলে তার আর দুঃখ থাকে না। জনৈক মনীষী বলেছেন, 'যত কম উপকরণ নিয়ে দিনাতিপাত করা যায় জীবনযাত্রা তত সুখের হয়।' সুখী মানুষের গল্প আমরা জানতে পারি তার কিছু না থাকায় সে সুখী জীবনযাপন করে।
সুতরাং অভাববোধ যার যত কম তার দুঃখও তত কম হবে। অভাবকে অভাব হিসেবে বিবেচনা না করলে দুঃখের দহনে দগ্ধ হতে হয় না। অভাবকে সীমিত পর্যায়ে রাখতে পারলে অপ্রাপ্তিজনিত দুঃখবোধ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আজকের ইনফো নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url